ধেয়ে আসছে সিটি কিলার, পৃথিবীর কয়েকটি শহরও রয়েছে টার্গেটে, বিরাট চিন্তায় নাসা
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন গ্রহাণু নিয়ে চিন্তায় নাসা। যদিও এটি পৃথিবীকে ধাক্কা মারার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত ০.২৮ শতাংশ। তবে যে নতুন তথ্য সামনে এসেছে তাতে বিরাট চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকার স্পেস এজেন্সি এবিষয়ে সকলকে সতর্ক করেছেন।
নতুন যে তথ্য সামনে এসেছে সেখান থেকে জানা গিয়েছে এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবী সুরক্ষিত থাকলেও বিরাট বিপদে পড়তে পার চাঁদ। এই গ্রহাণুর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৯০ মিটার। তবে অতি দ্রুত এটি পৃথিবী এবং চাঁদের কক্ষপথে চলে আসবে আর তখনই শুরু হবে আসল খেলা।
মার্কিন স্পেস এজেন্সি আরও জানিয়েছেন, যদিও পৃথিবীতে এই গ্রহাণু আঘাত করার সম্ভাবনা কম। তবে এটি ক্ষতি করতে পারে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরকে। সেটাই সবথেকে বড় চিন্তার কারণ। কোন কোন শহরকে এটি বেছে নেনে এবং যদি সেখানেই গিয়ে আছড়ে পড়ে তাহলে কীভাবে রক্ষা পাবেন সেখানকার বাসিন্দারা। যদিও হাতে খানিকটা সময় রয়েছে। কারণ ২০৩২ সালে এই গ্রহাণুটি আঘাত করবে। তখন তার গতি কী থাকবে, কীভাবেই সে নিজের গতিপথ বদল করবে তার হিসাব এখনই দিতে পারছে না নাসা।
যদি পৃথিবীর আগে চাঁদের সঙ্গে এই গ্রহাণুর সংঘর্ষ হয় তাহলে পৃথিবীর পক্ষে তা অনেক বড় বিপদ হবে। এই মহাকাশ গবেষক জানিয়ছেন, যদি চাঁদের সঙ্গে এই গ্রহাণুর সংঘর্ষ ঘটে তাহলে ৩৪০ টি হিরোশিমা বোমার মতো বিস্ফোরণ ঘটবে। এই বিস্ফোরণ পৃথিবী থেকে সরাসরি সকলেই দেখতে পারবেন। তবে এর ফলে চাঁদ ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে। তার বিরাট প্রভাব পড়বে পৃথিবীর উপর।
নাসার গবেষকরা ইতিমধ্যে এই গ্রহাণুকে দেখতে পেয়েছেন। বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসেই এই গ্রহাণুকে লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হবে সেটা এখনই জোর করে বলা যাচ্ছে না। তবে চাঁদের সঙ্গে এর সংঘর্ষ নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। এই গ্রহাণুটি ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট দীর্ঘ বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে এটি যেকোনও দেশকে শেষ করে দেওয়ার মতো শক্তি রাখে।
যদি চাঁদের সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয় তাহলে সেখান থেকে পৃথিবীর জোয়ার ভাটায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। তবে গবেষকরা মনে করছে এটি কাছে আসতে এখনও বেশ খানিকটা সময় রয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এর গতিবিধি সম্পর্কে আরও বেশি জানা যাবে। প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগর, আফ্রিকা, আরব সাগর এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশের উপর এর বিরাট প্রভাব পড়বে।
No comments